মানুষের শরীরে অনেক ধরণের
রোগ হতে পারে। তার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম । এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার
অনেক বেশি। কারণ হচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোনও চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয়
না।
====================
টিউমার শরীরের কোনো অংশের
অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন থেকে তৈরি হয়৷ এই সকল কোষের ভিতর তখন চারিত্রিক কিছু
পরিবর্তন ঘটে৷ আশেপাশের স্বাভাবিক কোষের থেকে এগুলো সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে পরে এবং
কাজেও অস্বভাবিকতা দেখা দেয়৷ এসকল কিছু মিলেই দেখা যায় শরীরের নির্দিষ্ট কোনো
অঙ্গে বা অংশে অতিরিক্ত বৃদ্ধি ঘটেছে - একেই বলা হয় টিউমার৷
ক্যান্সার সাধারণত
কতোটুকু ছড়িয়ে পরেছে এবং কয়টি লসিকা গ্রন্থি আক্রান্ত হয়েছে সেটার উপর নির্ভর করে
ক্যান্সারের ভয়াবহতা নির্ধারণ করা হয়৷ বর্তমানে অতিউন্নত পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে
আমরা প্রথম পর্যায়েই ক্যান্সার নির্ণয় করে তার চিকিত্সা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করে
তুলতে পারি৷ ক্যান্সারের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার মধ্যে আছে-আক্রান্ত স্থান হতে
কোষ নিয়ে বায়োপসি, সিটিস্ক্যান, টিউমার মারকার৷ তাছাড়াও এক্সরে, এন্ডোসকপি, আলট্রাসনোগ্রাফি
বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার নির্ণয় করা সম্ভব৷
প্রথম পর্যায়ে ক্যান্সার
নির্ণয় করা গেলে অথবা ক্যান্সার যদি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যেয়ে না থাকে তবে
শরীরের নির্দিষ্ট ক্যান্সার আক্রান্ত অঙ্গ বা অংশ অপারেশনের মাধ্যমে কেটে বাদ দিয়ে
ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব৷ তাছাড়াও কেমোথেরাপি এবং রেডিও থেরাপির মাধ্যমেও
ক্যান্সারের চিকিত্সা দেয়া হয়ে থাকে৷ বর্তমানে আমাদের দেশেও ক্যান্সারের সুচিকিত্সা
হয়৷
ক্যান্সার এড়াতে কিছু
পরামর্শ:
* মুখের ক্যান্সার এড়াতে
পান, দোক্তা, জর্দা, সুপারি, পান-মশলা খাওয়া বন্ধ করতে হবে৷
* মুখে লাল বা সাদা ঘা,
ক্ষত জাতীয় ঘা বেশি দিন ধরে থাকলে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে৷ এক্ষেত্রে দেরি করা একদম চলবে না৷
* ধূমপান থেকে মুখ, গলা, খাদ্যনালী,
পাকস্থলী, শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে
যায়৷ সুতরাং অবিলম্বে ধূমপান বন্ধ রুন৷
* দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপান
করলে পাকস্থলী এবং অগ্নাশয়ের (প্যানক্রিয়াসের) ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
* শিশুদের বুকের দুধ যেসকল
মহিলারা খাওয়ান না তাদের স্তন ক্যান্সার বেশি হয়৷
* একটিও বাচ্চা নাই এরকম
মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
* ফলমূল তরিতরকারি ইত্যাদি
খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে৷
* ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
স্তন এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়৷
সাধারণ কিছু
ক্যান্সারসম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো :
১. ফুসফুস ক্যান্সার
২. স্তন ক্যান্সার
৩. জরায়ু ক্যান্সার
৪. পাকস্থলির ক্যান্সার
৫. লিউকেমিয়া
৬. প্রোস্টেট ক্যান্সার
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধের
উপায়